সানা: জনতার বিক্ষোভের মুখে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ পরবর্তী নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৩ সালে তার বতর্মান মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
দেশটির পার্লামেন্টে আহূত জরুরি অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সালেহি আরও বলেন, দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব তিনি তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করবেন না। সালেহি গত তিন দশক ধরে ইয়েমেনের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
তিউনিসিয়া ও মিশরের ধারাবাহিকতায় ইয়েমেনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানী সানায় বিশাল মিছিল আয়োজন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দিনটিকে ‘ক্ষোভের দিন’ ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, সালেহি বলেন, ‘বংশানুক্রমিক শাসনকে না। আজীবন প্রেসিডেন্ট পদকে না। ’ আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার উদ্দেশে সংবিধান পরিবর্তনের যে পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি তাও বাতিল করে দিয়েছেন।
তিনি তার বিরোধী দলের নেতাদের রাস্তায় বিক্ষোভ না করারও আহ্বান জানান। আজীবন ক্ষমতার জন্য সালেহর দল জেনারেল পিপলস কংগ্রেস (জিপিসি) সংবিধানের একটি খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করলে ইয়েমেনে উত্তেজনার সূচনা হয়। সালেহ ২০০৬ সালে সাত বছরের জন্য পুনর্নির্বাচিত হন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলির উচ্ছেদের ঢেউ মিশরে পৌছেছে, সেখানে ৩০ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা হোসনি মোবারককে উৎখাতের জন্য জনগণ বিক্ষোভ করছেন। এই সবকিছুর প্রেক্ষিতেই সালেহ জনরোষ এড়াতে এই বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত নিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা , জানুয়ারি ০২, ২০১১