কলকাতা: স্বাধীন বাংলার শেষ রাজধানী ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরে প্রাচীন স্থাপত্যের নিপুণ স্থাপনা কাটরা মসজিদ ও হাজারদুয়ারী প্যালেসকে পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয় করতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অন্তর্গত পর্যটন উন্নয়ন নিগম।
পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অধিকর্তা টিভিএন রাও বুধবার বাংলানিউজকে কলকাতায় জানিয়েছেন, ‘মুশির্দাবাদ জেলায় দু’টি মন্দিরসহ হাজারদুয়ারী প্যালেস ও কাটরা মসজিদকে পর্যটক আর্কষণ করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ ভারতে ১৯১৪ সালে কাটরা মসজিকে অধিগ্রহণ করা হয়। করা হয় সংস্কার। ঐতিহাসিক খাজিম আহমেদ জানান, সুবে বাংলার ক্ষমতা লাভের পরেই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য একটি মসজিদ, সমাধিস্থল, শিক্ষাকেন্দ্র ও বাজার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ১৭২৩ সালে পাঁচটি সুবৃহৎ গম্বুজ ও দু’টি উঁচু মিনারসহ বিশিষ্ট বাংলার এই দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদটি নির্মাণ করেন।
‘কাটরা’ মানে বাজার। কিন্তু বাজারটি আর হয়নি। কাটরা নামেই মসজিদের নামাকরণ হয়। পাঁচটির মধ্যে তিনিট গম্বুজ ১৮৭৯ সালে ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়। মসজিদের সামনে চত্তরে ওঠার সিঁড়ির নীচে রয়েছে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর সমাধি।
এতদিন পর্যন্ত ঐতিহাসিক কাটরা মসজিদে রাতে কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এবার পুরাতত্ত্ব বিভাগের এই প্রচেষ্ঠায় আলোকিত হয়ে ওঠছে কাটরা মসজিদ।
অন্যদিকে, হাজারদুয়ারী প্যালেস দীর্ঘদিন ধরেই জাদুঘর রয়েছে। এখানে রাখা আছে নবাবী আমলের প্রতœসামগ্রী। সম্প্রতি এখান থেকে নবাবী আমলের পাঞ্জা চুরির ঘটনা ঘটে। তখন থেকেই এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরই এই ব্যবস্থা।
ভারতীয় সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১১