ঢাকা: সবচেয়ে অল্পবয়সী বাবা ও মায়ের দেখা মিলেছে ব্রিটেনে। মায়ের বয়স ১২ বছর আর বাবার বয়স ১৩ বছর।
১৬ এপ্রিল জানা যায়, গেল সপ্তাহে ১২ বয়সী এক কন্যা-শিশু সাত পাউন্ড ওজনের একটি কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছে। যদিও মা এখনও প্রাথমিক বিদ্যালয় পার করেনি। আর তার বয়ফ্রেন্ডের বাসা তাদের বাসার কাছেই উত্তর লন্ডনে।
বিষয়টি উভয় পরিবার গোপন রাখার চেষ্টা করলেও বুধবার তা প্রকাশ পেয়ে যায়। তার বয়ফ্রেন্ডের বয়স ১৩ বছর।
কন্যা-শিশুটির বয়স যখন ১১ বছর, তখন সে গর্ভবতী হয়।
এদিকে, সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটির নানার বয়স মাত্র ২৭ বছর। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এই দম্পতিকে বলা হচ্ছে, ‘ব্রিটেনের সবচেয়ে অল্প বয়েসী দম্পতি। ’
সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটির নানা গ্রেগ স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে জানিয়েছেন, তার কন্যা-শিশুটি যখন আটমাসের গর্ভবতী, তখনই উভয় পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন।
গ্রেগ বলছেন, এই শিশু দম্পতিকে উভয় পরিবার থেকেই সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, সাধারণ মানুষ জানার আগে এই শিশু দম্পতির জানা উচিত, তারা আসলে কী করেছে! কী ঘটেছে!
গ্রেগ বলেন, ঘটনাটি নিঃসন্দেহে হৃদয়বিদারক। এটি যে কারো মেয়ের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। আপনি আর পেছনে বা অতীতে ফিরে যেতে পারবেন না। সুতরাং, আপনাকে সামনেই আগাতে হবে।
তিনি রেডিও স্টেশনকে জানান, তার মেয়ের অবাধ মেলামেশার বিশেষত শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু একটা মেয়েকে তো আর ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিয়ে রাখা যায় না।
গ্রেগ একজন ব্যবসায়ী। সে কারণে তিনি বলেন, সদ্যপ্রসূত শিশুর দায়িত্ব আমি পালন করবো। আমি আমার সাধ্যমতোই তার জন্য করবো।
তিনি সদ্য বাবা হওয়া শিশুটিকে ‘গ্রেট কিড’ (মহান শিশু) হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সবশেষে, গ্রেগ তার ১২ বছর বয়েসী মেয়েটির জন্য গর্ববোধ করেন বলে রেডিও স্টেশনকে জানিয়েছেন।
তিনি এটাও বলেন, আমার মেয়েটি এমনিতেই শিশু। তারপর সে একটি শিশুর জন্ম দিয়েছে, এতে লজ্জার কোনো কিছু নেই।
তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন এই বলে যে, তার মেয়ে পৃথিবীর জন্য সুন্দর কিছু একটা করেছে এবং তার জন্য তারা অবশ্যই সহযোগিতার হাত বাড়াবেন।
মা-শিশুটি সেপ্টেম্বর থেকে ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে সে।
তবে শিশু দম্পতির ছবি প্রকাশ করা হলেও নাম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪