ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি

পোশাক ক্রয়ে ভাবছেন ব্র্যান্ডগুলোর ক্রেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪
পোশাক ক্রয়ে ভাবছেন ব্র্যান্ডগুলোর ক্রেতারা

ঢাকা: রানা প্লাজা, একটি শোকাবহ নাম, একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার নাম।   ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজায় যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল সে শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির বাংলাদেশ।

সে শোক এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় রানা প্লাজায় থাকা পোশাক কারখানাগুলোর ক্রেতা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ক্রেতাদের।

এই শোক কি খ্যাতনামা বিদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ক্রেতাদের অভ্যাসে কোনো পরিবর্তন এনেছে? যদি এনে থাকে, তবে সেটা কি ইতিবাচক, নাকি নেতিবাচক?

সেই শোক যদি সত্যিই ক্রেতাদের তাড়িয়ে বেড়ায়, তবে পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কী বিবেচনা করা উচিত?

এ ধরনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে মতামতভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন।

এসব প্রশ্নের জবাব বিভিন্নভাবে দিয়েছেন গার্ডিয়ানের পাঠকরা।

তারা বলেছেন, যখন তারা রানা প্লাজার কারখানাগুলোর ক্রেতা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে পোশাক কিনতে যান, তখন তাদের ওই ট্র্যাজেডি (রানা প্লাজা ধস) তাড়িয়ে বেড়ায়। যেসব রথি-মহারথি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক অল্পদামে বিক্রেতা কারখানাগুলোর কাছ থেকে পোশাক কেনে, সেখানকার কারিগরদের (শ্রমিক) ন্যূনতম পারিশ্রমিক ও তাদের কাজের পরিবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে কোনো খোঁজ নেয় না, আবার জানলেও এ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করে না, সেসব দায়িত্বহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পোশাক না কেনাই শ্রেয়।

আবার কেউ বলেছেন, এসব প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে, ‘শ্রমিকদের প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দাও এবং তাদের কাজের পরিবেশ ঝুঁকিমুক্ত করার ব্যবস্থা করো’।

কেউবা আবার বলেছেন, নৈতিকতার ক্ষেত্রে উদাসীন হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে আগে থেকেই পোশাক ক্রয় করি না। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সেই ব্র্যান্ডগুলোর ওপর থেকে আস্থা একেবারেই শূন্যের কোটায় নেমে গেল।

কেউ বলেছেন, এই দুর্ঘটনার পর আমাদের অবশ্যই পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে নৈতিকতার বিচার করার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। আমরা অনেক দামে যে পোশাক ক্রয় করছি, সেগুলো যাদের হাতে তৈরি হচ্ছে সেই ঘাম ঝরানো শ্রমিকদের প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে কিনা তা খোঁজ নেওয়া উচিত। তারা কী অবস্থায় থেকে কাজ করছে সেটার খোঁজ নেওয়া উচিত।

আবার কোনো কোনো পাঠক বলছেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চীনের কুখ্যাতির কারণে তাদের কাছ থেকে আমরা পোশাক কিনতে পারি না। ভারতে জবরদস্তি করে শিশুদের শ্রমে বাধ্য করা হয় বলে আমরা তাদের কাছ থেকেও পোশাক কিনতে পারি না। আবার রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর আমরা বাংলাদেশ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। আমরা দায়িত্বে উদাসীন ব্র্যান্ডগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে যে এরকম ভবন ধস বন্ধ হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই। বরং যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে আমরা চাপ দিতে পারি।

গার্ডিয়ানের এ মতামতভিত্তিক প্রতিবেদনে অনেক পাঠকই বিভিন্ন ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন... http://www.theguardian.com/world/2014/apr/16/rana-plaza-factory-collapse-bangladesh-change-fashion-shopping-habits?cmp=wp-plugin&commentpage=1

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।