সাংবাদিকতা একটি আকর্ষণীয় পেশা, সন্দেহ নেই। এখানে সুন্দর-গুড লুকিং এর পাশাপাশি যথেষ্ট স্মার্ট ছেলেমেয়েরা কাজ করে থাকে।
নিখুঁত পর্যবেক্ষক: সাংবাদিকরা জানে আপনি মিথ্যা বলছেন না সত্য বলছেন, কথাটি হৃদয়ের ভেতর থেকে বলছেন না মুখ রক্ষায় বলছেন। ফোনে অসংখ্য চৌকস লোকের গলার স্বর শুনে ইন্টারভিউ নিতে নিতে সাংবাদিক মানুষের মন বোঝায় প্রশিক্ষিত হয়ে উঠেছেন। ঠিক যেন বিমানবন্দরের গার্ড-ডগের মতো অবস্থা। সুতরাং কখনো ভাবনে না যে আপনি গোপনে কিছু করে পার পেয়ে যাবেন।
কথা ধরে থাকবে: অজ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে, ফোনে বা লিখে যা-কিছুই বলেন না কেন সহজে ভুলবে না সাংবাদিক। সময় হলে আপনার কথা ঠিকই আপনাকে শুনাবে। কারণ তাদের কাজই হলো এগুলো অন্যকে মনে করিয়ে দেওয়া। আর এ ধরনের ফলো-আপ স্টোরির জন্যই তারা অফিস থেকে বেতন পান। সুতরাং যদি সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন তরী ভাসাতে চান তাহলে আরেকবার ভাবুন। আর এসব জেনেও যদি সম্পর্ক করতে হয় তাহলে কথা বলায় সতর্ক হউন।
সবসময় বাক্য-উচ্চারণে ভুল খুঁজবে: সাংবাদিকদের ভাষায় মুন্সিয়ানা রয়েছে। তাদের বলা হয় প্রশিক্ষিত লেখক। আর ইংরেজি তাদের ডিএনএ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং তাদের সামনে বলতে হলে বা ই-মেইল করতে হলে ভেবে-চিন্তে করতে হবে।
সাংবাদিকরা টুইটার-ফেসবুকে আসক্ত: মধ্যরাত অবধি ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামে থাকাই সাংবাদিকদের কাজ। সুতরাং আপনি যদি এসব সামাজিক গণমাধ্যমের প্রতি আসক্ত না হয়ে থাকেন তবে সাংবাদিক কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
সন্দেহপ্রবণ: সব কিছুতেই সন্দেহ করা সাংবাদিকদের কাজ। আপনি কি খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন এসব কিছু সম্পর্কে সদা সজাগ থাকে একজন সাংবাদিক। সুতরাং......
একান্ত সময় দরকার: সাংবাদিকরা অফিস বা অ্যাসাইনমেন্টে খুবই ব্যস্ত থাকে। তাই বাসায় ফিরে যতটুকু সময় পান ততটুকু সময় নিজের মতো করে কাটাতে যান। একা একা থাকার প্রবণতা বেশি। তাহলে সঙ্গী-সঙ্গীনি হিসেবে যথেষ্ট সময় আপনি আর পেলেন কোথায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪