কাঠমান্ডু: নেপালের জোট সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানাল। তিন প্রধান রাজনৈতিক দল মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এর আগে নেপালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ষোল বারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ।
ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট দলের (ইউএমএল) নেতা ঝালানাথ খানাল রোববার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাওবাদী নেতা প্রচ- প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে খানালকে সমর্থন জানানোর পর বৃহস্পতিবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তিনি জয় লাভ করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে সৃষ্টি হওয়া সাত মাসের নেতৃত্বের শূণ্যতার অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খানালকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি এ বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়া ও সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া জোরদার হবে বলে ওয়াশিংটন আশাবাদ ব্যক্ত করে।
এদিকে, তার মন্ত্রিপরিষদ সমন্বিত হবে এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে মাওবাদীদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে খানাল ইঙ্গিত দেন।
তবে মাওবাদীদের সমর্থন সত্ত্বেও খুব তাড়াতাড়িই দেশটির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিভেদ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে না বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দেন।
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার খুন্দা দিক্ষিত বলেন, ‘বড় দলের সমর্থনে খানালের সরকার বর্তমানে স্থিতিশীল। কিন্তু প্রচন্ডের সঙ্গে তিনি শেষ পর্যন্ত কি ধরনের চুক্তি করতে পারবেন তা একটি বড় প্রশ্ন। ’
‘এক্ষেত্রে তার নিজের ও প্রচন্ডের দলের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা টানতে এবং তা বজায় রাখতে খানালকে তার সব দক্ষতা প্রয়োগ করতে হবে। ’ রাজনৈতিক বিশ্লেষক লোকরাজ বারাল বলেন, ‘এখন সব দলের সমর্থন লাভ করা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১১