তোলাই: অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ মাত্রার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসি আঘাত হানার পর বিধ্বস্ত উপকূলীয় শহরগুলোতে সেনা ও ত্রাণ পাঠানো শুরু করেছে দেশটি। একইসঙ্গে ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো পর্যন্ত আটকে পড়া বাসিন্দাদের শান্ত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
অস্ট্রেলিয়ায় গত ৩০ বছরে এটাই সেনা নিয়োগের সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় সেনা নিয়োগের ঘটনা। ’
ঘূর্ণিঝড়ের পর লুটপাঠ এবং একজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর বড় আকারে এ উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে ছোট উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু দুজন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ থাকায় মোট নিহত মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
তবে ঝড়ের কারণে রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ায় শত শত উদ্ধারকারী সেখানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। আটকে পড়া হাজার হাজার বসিন্দা বর্তমানে বিদ্যুৎ, পানির অভাবে আছেন এবং সব ধরনের যোগাযোগের পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জরুরি সেবা বিষয়ক মন্ত্রী নিল রবার্টস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছি। উদ্ধারকারীদের সেখানে পৌঁছাতে অনেক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ’
তবে এরইমধ্যে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর সরবরাহ নিয়ে দুই হাজার ৭০০ টনের একটি জাহাজ টাউন্সভিল বন্দরে পৌঁছেছে। এখান থেকে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারপরও উদ্ধার তৎপরতা শুরুর পর অনেক মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে সরকার থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তবে এরইমধ্যে অনেক বাসিন্দা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
এদিকে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকায় বুধবার ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। ইয়াসির কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে এবং এর প্রভাবে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের অর্থমন্ত্রী ওয়েন সাওয়ান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এর ফলে জীবন ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১১