ধর্মশালা: টাইম সাময়িকীর চোখে বিশ্বের সর্বকালের সেরা ২৫ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তালিকায় রয়েছেন ভারতবর্ষের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধী ও আকবর দ্য গ্রেট। খবর আইএএনএসের।
ব্রিটিশ শাসনের সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতায় পরিণত হন। তারই অহিংস আন্দোলন দেশটির স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে বলে টাইম সাময়িকী উল্লেখ করে।
এতে আরও বলা হয়, ‘যদিও দেশটি পরে বিভক্ত হয়ে যায় এবং গান্ধীকে হত্যা করা হয় কিন্তু তার শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অনেক সামাজিক আন্দোলনের পথ দেখিয়েছে। ’
সম্রাট হুমায়ুন ও সম্রাট বাবরের নাতি আকবর মাত্র ১৪ বছর বয়সে দিল্লির সিংহাসনে আরোহন করেন। বলা হয়, তার সাম্রাজ্যই সবচেয়ে প্রভাবশালী ও শক্তিধর ছিল। দ্বীন-ই-এলাহি মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করে। এ মতাদর্শে খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও ইসলামসব ধর্মের মানুষকে আশ্রয় দেওয়া প্রচেষ্টা ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৬ শতকের এ সম্রাট সুফি মরমীবাদে প্রভাবিত ছিলেন। তিনি সব ধর্ম নিয়ে তর্কবিতর্কের স্থান হিসেবে ইবাদত খানা প্রতিষ্ঠা করেন।
তালিকায় বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও রয়েছেন। তার সম্পর্কে সাময়িকীতে বলা হয়, ‘তিব্বতের অধিকার এবং তিব্বতবাসীর বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে তিনি শুধু সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে বেশি জনসমর্থিত ব্যক্তিই নয় বরং বিশ্বের সব মানুষের জন্য শান্তি ও সহনশীলতার প্রতীক। ’
টাইমে বলা ‘অগণিত তিব্বতীবাসীর তিনি আধ্যত্মিক নেতা এবং রাষ্ট্রের প্রধান। ১৯৫৯ সালে নির্বাসিত হওয়ার বহু আগে থেকেই তিনি তিব্বত ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ’
টাইমের ২৫ জনের তালিকায় ছাড়াও আরও আছেন অ্যালেকজান্দার দ্য গ্রেট, উইনস্টন চার্চিল, চেংগিস খান, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন. অ্যাডলফ হিটলার, চে গুয়েভারা, রোনাল্ড রিগ্যান, কিওপেট্রা, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, মার্গারেট থ্যাচার, মাও সে তুং, রানী ভিক্টোরিয়া, বেনিতো মুসোলিনি, ভøাদিমির লেনিন, সিমন বলিভার, কিন শি হোয়াং, কিম ইল-সুং, চার্লস দ্য গল, চতুর্দশ লুই, হেইল সালাসি, কিং রিচার্ড, লিয়নহার্ট ও সালাদিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১