মস্কো: যতই লাফালাফি করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হোক, কোন কিছুতেই কোনো সাড়া নেই। না পেরে শেষমেশ নিজের সবচেয়ে পছন্দের খাবার বাদাম দিয়েই পটানোর চেষ্টা।
মস্কো গার্ডেনে স্থাপিত কুকুরের একটি সুন্দর মূর্তি দেখে কাঠবিড়ালিটি এর গায়ের ওপরে লাফিয়ে পড়েছিল। কখনও মাথার উপর চড়ে বসছিলো তো কখনও মুখের ভেতর উঁকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলো।
একটু সাড়া পেতে বাদামও খেতে দিচ্ছিল মূর্তিটিকে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিল না কেন কুকুরটি নড়ছে না।
এক সময় ভাল করে দেখার জন্য মূর্তিটির পায়ের কাছে চলে আসে কাঠবিড়ালিটি। ধ্যান ভাঙ্গাতে সুযোগ বুঝে এমনকি মুখে একটি যুতসই চুমুও বসিয়ে দেয়। কিন্তু তাতেও যখন কোনো ভাবান্তর নেই বেরসিক কুকুরটির তখন একরকম হাল ছেড়ে দিয়ে তার পর্যবেক্ষণের ইতি টানে প্রেমিক কাঠবিড়ালি।
আর ঘণ্টাব্যাপী মূর্তির সঙ্গে কাঠবিড়ালির এই রঙ্গচিত্রের ছবি তুলে রাখেন এই বাগানের পাশেরই এক বাসিন্দা।
হয়তো নিজের গায়ের রঙ্গের সঙ্গে কমলা ও বাদামির মিশেল মূর্তিটির কিছু মিল দেখে নিজের গোত্রেরই ভেবেছিলো কাঠবিড়ালিটি, যদিও মূর্তিটি ছিলো তার আকৃতির প্রায় পাঁচগুণ। তাতে কি, ভালবাসার কাছে আকৃতি কোনো বিষয়ই নয়।
ইউরেশিয়াতে একসময় লাল কাঠবিড়ালির অবাধ বিচরণ থাকলেও উত্তর আমেরিকা থেকে বাদামি কাঠবিড়ালি আমদানির কারণে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
জীবনের প্রথম শীতে টিকে থাকতে সক্ষম হলে বন্য পরিবেশে এসব লাল কাঠবিড়ালির আয়ুষ্কাল হয় তিন বছর।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১