ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে সরকার উৎখাতের দাবিতে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৪
থাইল্যান্ডে সরকার উৎখাতের দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা: থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার দল পেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উৎখাতের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা। গত বুধবার দেশটির আদালত সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করেন।

এরই প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যাংককে অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেট পার্টির নেতা ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইংলাকের পেউ থাই পার্টি পরিচালিত এ সরকারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে না সরালে সরকারি টেলিভিশন ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও ব্যাংককের পুলিশি কার্যালয় ও ক্যাম্পগুলো দখল করে নেওয়া হবে।

অপর দিকে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভরত জনতার উদ্দেশে সুথেপ থাউগসুবান আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দাবি না মানলে প্রধানমন্ত্রী ভবন ও পাঁচটি টেলিভিশন সরকারকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতা পুনরায় অর্জন করবো এবং একটি জনপরিষদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করবো।

সুথেপ বলেন, আমরা সরকারের শান্তিপূর্ণ বিদায় চাইছি। কিন্তু তারা যদি তিন দিনের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় না নেয়, তাহলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে-কী করতে হবে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করার দায়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাকসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজনমন্ত্রীকে গত বুধবার পদচ্যুতির নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া, ইংলাকের স্থলে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিবাতুমরং বুনসংপাইজানকে অভিষিক্ত করেন আদালত।

অক্টোবরের শেষ দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পরামর্শে সরকার পরিচালনার অভিযোগ ও তাকে বাঁচাতে বোন ইংলাক চাতুর্য করছেন-এমন অভিযোগ এনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা। বিক্ষোভের মুখে গত ডিসেম্বরে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক। কিন্তু অস্থিরতার মুখে ফেব্রুয়ারির সে নির্বাচন বয়কট করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজাজিভার নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেট পার্টি।

আগামী ২০ জুলাই নতুন করে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য একমত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক ও দেশটির নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।