ঢাকা: সৃষ্টিকূলে ‘মা’ ঐশ্বরিক উপহার! এই ‘উপহারে’ই রয়েছে পৃথিবীর সবটুকুন ভালবাসা, মমতা, ত্যাগ, শাসন, অনুপ্রেরণা, আশ্রয় ও সাহস! পৃথিবীর আলো দেখার পর যারা মা’কে দেখার সৌভাগ্য পান, তীব্র শীতে যারা মায়ের আঁচলে স্বর্গীয় উষ্ণতা পান, মায়ের হাতের একমুঠো খাবারে যারা পান তৃপ্তির সবটুকুন, মায়ের প্রার্থনার আসনে যারা দেখতে পান নিজের বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা, সর্বোপরি মায়ের আবেগ-অনুভূতি-ভালাবাসা-মমতা মাখানো স্নেহের কোলে যারা বেড়ে ওঠেন, তারা সহস্র জনমেও স্বর্গসুখ বিসর্জন দিয়ে মায়ের পদতলে পড়ে থাকতে চাইবেন নির্দ্বিধায়!
আর যারা ভূমিষ্ট হওয়ার সময়ই প্রকৃতির বেখেয়ালে প্রিয় মা’কে হারিয়ে ফেলেন, অথবা যাদের নিজের জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প গোছানোর আগেই মা হারিয়ে যান ‘অচিনপুরে- তারা? প্রকৃতির প্রতি অভিমান করলেও তাদের হৃদয়ের অকাতর কামনা কী?
রোববার বিশ্ব মা দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো একটি ছবিই যেন এ ধরনের অজস্র প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যায় নীরবে!
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বরাতে ছবিটির বর্ণনায় বলা হচ্ছে, বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করা শ্রেষ্ঠ ছবিগুলোর একটি এটি।
বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের এতিমখানা থেকে তোলা এ ছবি।
মাকে কখনো দেখেনি সে, ঘুমুতে পারেনি প্রিয় মায়ের কোলে। মায়ের স্নেহের কোলে ঘুমানোর ইচ্ছে থেকে মেঝেতেই মা’কে এঁকে তার কোলে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।
মায়ের প্রতীকী কোলে শিশুটির এ শান্তির ঘুম পৃথিবীর অন্য সন্তানদের জন্য বাস্তবে আসুক, প্রকৃতির বেখেয়ালি আচরণে প্রিয় মা’রা যেন হারিয়ে না যান অচিনপুরে, শত-সহস্র বছর ধরে বেঁচে থাকুন সন্তানদের হৃদয়পুরে-এমনটিই কামনা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৪