ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডেঙ্গু হুমকি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডেঙ্গু হুমকি!

ঢাকা: আগামী জুন থেকে ব্রাজিলে শুরু হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বিশ্ববাসী মেতে থাকলেও উদ্বেগের খবর জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, আগামী ফুটবল বিশ্বকাপে মশা-বাহিত সংক্রমণ রোগ ডেঙ্গু ছড়াতে পারে আয়োজক দেশটিতে।



বিজ্ঞানীদের এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষকে সতর্কতা দিতে তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বিশ্বকাপের আয়োজক নাতাল, ফোর্তালেজা ও রেসিফে ভেন্যু ডেঙ্গু সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকবে।

আর মাঝারি পর্যায়ে সংক্রমণ ঘটবে রিওডি জেনেরিও, বেলো হোরিজোনতে, সালভেদর ও মানাওসে ভেন্যু অঞ্চলে।

তবে, ডেঙ্গুর অপেক্ষাকৃত কম প্রবণতা লক্ষ্য করা যাবে ব্রাসিলিয়া, কুইয়াবা, কিউরিতিবা, পোর্তো আলেগ্রে ও সাও পাওলো শহরে।

গবেষণা দলের প্রধান ও স্পেনের কাতালান ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট সায়েন্সেস’র অধ্যাপক ড. রাচেল লোয়ে বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপ উৎসবের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে সংবাদ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ডেঙ্গুর প্রবণতা গবেষণা করে ব্রাজিলকে এই সতর্কতা দিতে হচ্ছে।

গবেষকরা বলেন, ডেঙ্গুর এই সতর্কতা বলবৎ থাকবে ব্রাজিলের ৫৫৩টি ‘ক্ষুদ্রাঞ্চলে’।

গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রাজিলে ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ৭০ লাখ রকমের সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়। আর এ সময়ের মধ্যে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনা ঘটে দেশটিতে।

১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত মাসব্যাপী এ মাঠের লড়াই উপভোগ করতে ব্রাজিলের ১২টি শহরে প্রায় ১০ লাখোধিক বিশ্ব ফুটবলপ্রেমী জড়ো হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই অধ্যাপক ডেভিড হারলে ও এলভিনা ভিয়েনেত দ্য লানসেট ইফেকশাস ডিজিজ জার্নালে লেখেন, ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে বিশ্ব উচ্ছ্বসিত থাকলেও তাদের ডেঙ্গু জ্বরের সতর্কতাই শোনাতে হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়া ভিনদেশি ফুটবলপ্রেমীরা। তাই তাদেরই সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

ডেঙ্গু এমন এক ধরনের বিপজ্জনক সংক্রমণ যেটা মশা থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো চিকিৎসা বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।

পর্দা (ঘুমের সময় মশারি টাঙানো), শীতাতপ যন্ত্র (এসি কক্ষে অবস্থান করে) ও কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করে ডেঙ্গু রোগবাহক মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।