মস্কো: জাপানের দাবি করা বিরোধপূর্ণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জে বুধবার অতিরিক্ত অস্ত্র মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। একইসঙ্গে রাশিয়ার ভূখ-ের অবিচ্ছেদ্য এ অংশে দেশটির উপস্থিতি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মেদভেদেভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার একটি বার্তাসংস্থা জানায়, ‘ওই দ্বীপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত অস্ত্রের মোতায়েন অবশ্যই পর্যাপ্ত ও আধুনিক মানের হতে হবে। কেননা এটা রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও আঞ্চলিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘কুরিল দ্বীপপুঞ্জে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবো। এটা আমাদের কৌশলগত অঞ্চল। ’
এর আগে গত নভেম্বরে কুরিল দ্বীপপুঞ্জে সফর করেন মেদভেদেভ। সে সময় একে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান।
মেদেভেদেভের সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্ত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে টোকিওর সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধ ও নাওতো কানের মন্তব্যের কঠোর জবাব বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনাতোলি সের্দিয়ুকোভকে মেদভেদেভ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত, অস্ত্রের সরবরাহ এবং অন্যান্য সব সাংগঠনিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ’
সব নির্দেশ সঠিকভাবে পালনের নিশ্চয়তা দিয়ে সের্দিয়ুকোভ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা চলতি মাসের শেষ নাগাদ একটি কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি। সেখানে কোনো ধরনের অস্ত্র প্রয়োজন এ বিষয়টি আমরা এখন বুঝতে পারছি। এ বিষয়ে চলতি মাসের শেষেই আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ’
১৯৪৫ সালে সোভিয়েত বাহিনী জাপানের হাক্কাইদো দ্বীপের উত্তরে অবস্থিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জটি দখলে নেয়। তখন থেকে মস্কো এটা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এটা মস্কো-টোকিওর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
কেননা, দ্বীপটি জাপানের বলে দেশটি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১