ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিশরে বিক্ষোভকারীদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১
মিশরে বিক্ষোভকারীদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে

কায়রো: মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে তিন সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভে দেশটির সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত কয়েকশ (কয়েক হাজারও হতে পারে) বিক্ষোভকারীকে গোপনে আটকে রেখে নির্যাতন  করছে--এমন অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। ব্রিটেনের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বৃহস্পতিবার এতথ্য জানায়।



তবে মিশরের সামরিক বাহিনী নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করছে। তাদের ভূমিকা কেবল মোবারক বিরোধী এবং তার অনুগামীদের পৃথক রাখা। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ব্যাপারটা মোটেও এরকম না। তাদের অভিযোগ, সামরিক বাহিনী লোকজনদের গুম ও নির্যাতন করছে।

দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক এই আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এদিকে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের শরীরেই সেনাবাহিনীর নির্যাতন চালানো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে।

আটক হওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিই মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী এবং সাংবাদিক। তবে বেশিরভাগকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কায়রোর একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক হোসাম বাহগাত জানান, সারা দেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া হাজার হাজার সাধারণ লোক সেনা কারাগার থেকে ‘অদৃশ্য’ হয়ে গেছে। তারা কেউই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না, তারা শুধুমাত্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল আবার কেউ কেউ বিক্ষোভ দেখতে এসে আটক হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এগুলো অপ্রয়োজনীয়। সেনাবাহিনী যা করছে তা নজিরবিহীন। ’ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানায়, সেনাবাহিনী ১১৯ জনকে আটক করেছে তাদের কাছে এমন তথ্য আছে। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে তারা বিশ্বাস করে।

বাহগাত আরও বলেন, কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানা অসম্ভব। কারণ এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কিছু জানায়নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন কায়রোতে যেভাবে লোকজন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, সারা দেশেও একই ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।