কায়রো: মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশটির বৃহত্তম হাসপাতালের শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা মিছিল করছে। এছাড়া বৃহত্তম কারখানার শ্রমিকরা তিন সপ্তাহব্যাপী চলমান বিক্ষোভে সংহতি জানাতে এবং বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছে।
কাসার আল-আইনি হাসপাতালের প্রায় তিন হাজার কর্মী সারা দেশ থেকে আসা অন্যান্য হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাইরে মিছিল করছে । এ সময় তারা, ‘মানুষ এই শাসনের সমাপ্তি চায়’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
তাদের দাবি শুধুমাত্র রাজনৈতিক উল্লেখ করে কাসার আল-আইনির বাসিন্দা সোহা মোহাম্মাদ বলেন, ‘এটি আমাদের বেতনের দাবি নয়। বর্তমান ক্ষমতাকে সরানো এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমরা এটি করছি। ’
নিল ডেল্টা শহরের জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ কাদের এই বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য কায়রোতে সারারাত জেগে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কায়রোতে আমার সহপাঠি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিতে চেয়েছি। এটি আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা আমাদের অধিকার চাই। ’
এদিকে, মিশরের সবচেয়ে বড় কারখানা স্পিনিং অ্যান্ড ওয়েভিং টেক্সটাইলের ২৪ হাজার শ্রমিক কারখানায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে এবং প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
এই ধর্মঘটের একজন সংগঠক ফয়সাল নাওশা এএফপিকে টেলিফোনে জানান, ‘আমাদের এই ধর্মঘটের প্রথম কারণ তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সংহতি জানানো। এছাড়া আদালত যে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করছে আমরা তার বাস্তবায়ন চাই। ’
দ্য সেন্টার ফর ট্রেড ইউনিয়ন এবং ওয়ার্কাস সার্ভিসেস (সিটিইউডব্লিউএস) জানায়, মিশরের পোশাক কারখানার মোট ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করেন।
সিটিইউডব্লিউএসের কর্মকর্তা কামাল আব্বাস এএফপিকে বলেন, যখন থেকে মোবারক বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তখন থেকে এখানেও বিক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে। কর্মকর্তারা লাখ লাখ ডলার তাদের অ্যাকাউন্টে রাখছে এমন সংবাদ শুনার পর অনেক শ্রমিকই মনে করছে এখনই সময় ঘুরে দাঁড়ানোর এবং দাবি উত্থাপন করার। ’
এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে তার ৩০ বছরের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে দেশটিতে তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ি এ পর্যন্ত এই হামলায় ৩০০ জন নিহত, অনেকে আহত এবং আটক হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১