থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৫৫ প্রভাবশালী ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ক্ষমাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন নেতা এবং আমলা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে টেলিভিশনে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চ্যান-ওচা। এরপর শুক্রবার এমন নিষেধাজ্ঞা আসলো।
তিনি ঘোষণা দেন, সেনাবাহিনী দেশটিতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে এবং রাজনৈতিক সংস্কার করবে।
এছাড়া, এ অভ্যুত্থান থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি করেন সেনাপ্রধান প্রায়ুথ। একইসঙ্গে দেশটিতে অবস্থানরত ও সফররত বিদেশি নাগরিকদের সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মঙ্গলবার মার্শাল ল’ জারি করার পর বৃহস্পতিবার এ অভ্যুত্থান ঘটালো সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মার্শাল ল’ জারির পর সমঝোতার লক্ষ্যে রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠকে বসালেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো আশার বাণী শোনা যায়নি। এরই প্রেক্ষিতে ‘শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়’ অভ্যুত্থান ঘটালো সেনাবাহিনী।
দেশটির সবগুলো টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ভাষণে সেনাপ্রধান প্রায়ুথ যখন অভ্যুত্থান ঘোষণা করছিলেন, তখন চলমান সংকট নিরসনে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় ব্যাংককের আর্মি ক্লাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সংলাপ চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪