ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অব্যাহতভাবে মিশরে ‘সুনির্দিষ্ট’ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ক্ষমতায় থাকার ঘোষণার পর ওবামাসহ বিশ্ব নেতারা বৃহস্পতিবার আরও জোরালোভাবে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মোবারকের পদত্যাগের জোরালে সম্ভাবনার গুজব উঠলেও দিনশেষে তার ক্ষমতা থেকে এখনই সরে না আসার ঘটনা মিশরীয়সহ সারা বিশ্বকে ুব্ধ করে। এ সময় প্রেসিডেন্ট শুধু মিশরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলেইমানের হাতে আরও কিছু কর্তৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পর পরই কঠিন ভাষায় মোবারকের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় হোয়াইট হাউস। এতে বলা হয়, ‘শুধু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ক্ষমতার কিছু রদবদল করা হয়েছে বলে মিশরীয় জনগণকে বলা হয়েছে। কিন্তু এ পরিবর্তন কি তাৎক্ষণিক, অর্থপূর্ণ এবং পর্যাপ্ত কি না তা পরিষ্কার করা হয়নি। ’
‘এ দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে সরকারের সদিচ্ছা বিষয়ে এখনও বহু মিশরীয় সন্তুষ্ট নয়। তাই এ বিষয়ে জনগণ ও বিশ্বকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো এখন সরকারের দায়িত্ব। ’
জাতিসংঘ মহাসিচব বান কি মুন বলেন, মিশরের জনগণেরই উচিত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা। একইসঙ্গে তিনি আবারও দেশটিতে একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচনের আহ্বান জানান।
তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সাহায্য করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার না হন এ বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
মোবারকের পদত্যাগ না করার বিষয়টিতে একইসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি।
এদের মধ্যে ইইউর প্রধান কূটনীতিক ক্যাথেরিন অ্যাশটন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডও আছেন। এ বিষয়ে অ্যাশটন বলেন, ‘এখনই পরিবর্তনের সময়। মিশরীয় জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। ’
গিলার্ড বলেন, ‘মিশরে মৌলিক সংস্কার হবে, পরিবর্তন আসবে বলে আমরা এখনও বিশ্বাস করি। আর এটা শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলেই আমরা আশা করছি। ’
মিশরের ভিন্নমতাবলম্বী মোহাম্মদ আলবারাদি টুইটারে লেখেন, ‘মিশরে বিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীই এখন দেশকে রক্ষা করবে। ’ এছাড়া জার্মানি ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিশরে দ্রুত পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১