প্যারিস: বিশ্ব নেতারা মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে মোবারকের সরে দাঁড়ানোটাকে দেখছেন গণতন্ত্রের পথে মিশরীয় জনগণের বিজয় হিসাবে।
তাই জনতার আন্দোলনে মোবারকের তিন দশকের শাসনের অবসান হওয়ায় অভিনন্দন বার্তায় ভেসে যাচ্ছে মিশরীয় জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাকা ওবামা বলেছেন, মিশরের জনগণ কথা বলে ওঠেছে, তারা প্রকৃত গণতন্ত্রের চেয়ে একটুও কম কিছু নেবে না।
তিনি বলেন, ‘তাদের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে এবং মিশর আর কখনই আগের জায়গায় ফিরে যাবে না। ’
সেইসঙ্গে মিশরের সামরিক বাহিনী যেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সে বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর এখন উচিত হবে রাজনৈতিক হস্তান্তর নিশ্চিত করা, যা মিশরের জনগণের চোখে বিশ্বাসযোগ্য হবে।
তবে আগামী দিনগুলো যে মিশরের জন্য কঠিন হবে, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন ওবামা।
জনতার ইচ্ছার কাছে মাথা নুইয়েছেন বলে মোবারকের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
সেইসঙ্গে মিশরীয় জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে মোবারক একটি ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও প্রশংসা করেন তার।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি মোবারকের পদত্যাগকে ‘সাহসী ও দরকারি’ সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন।
সেইসঙ্গে তিনি অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার পথে প্রতিটি মিশরীয় জনগণকে আহ্বান জানায় ফ্রান্স।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেন, মোবারকের সরে দাঁড়ানোটা ‘ঐতিহাসিক পরিবর্তন’ হিসাবে গণ্য হবে।
তিনি প্রত্যাশা করেন, মিশরের ভবিষ্যতের সরকার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রাখবে। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে সম্মান জানাবে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, মোবারক সরে দাঁড়ানোয় মিশরের সামনে সত্যিই এখন দারুণ সুযোগ এসেছে এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার, যে সরকার দেশটিকে একই ছাতার তলে নিয়ে আসবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আশা প্রকাশ করেন যে ক্ষমতা হস্তান্তর মিশরের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রুড এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘মিশরীয় জনগণের জন্য এ এক স্মরণীয় দিন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১১