ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে আগুন লেগে রোগী, সেবিকাসহ অন্তত ২১ জন পুড়ে মারা গেছেন।
এ ছাড়া আরো ছয়জন মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে হাইওসারাং হাসপাতালে মঙ্গলবার গভীর রাতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে দাহ্য পদার্থ থাকায় দুর্ঘটনাটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, ৮১ বছর বয়সী এক রোগী যিনি ডেমেনশিয়ায় ভুগছিলেন, তিনি যেখানে গিয়েছিলেন সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাতের পরই পরই খুব দ্রুত তা তিনতলা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি।
এদিকে, সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওপরের তলায় অনেক রোগীই আটকা পড়েন। কারণ, তাদের কক্ষগুলি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যম আরো জানাচ্ছে, যে সেবিকা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তিনি মূলত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন।
অপরদিকে, হাসপাতালটির পরিচালক লি হাইউঙ্গ-সেওক ঘটনায় ব্যথিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বড় ধরনের একটা পাপ করলাম। এই যে এতগুলো মূল্যবান জীবন হারিয়ে গেল, এ জন্য কোনো কৈফিয়তই চলে না।
এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো যখন মাত্র কিছুদিন আগেই ফেরি ডুবিতে শিক্ষার্থীসহ ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট চুংহং-ওন জাতির কাছে ক্ষমা চান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪