ঢাকা: দিনের আলোয় সবার সামনে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়েছে ফারজানাকে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করা হলেও পুলিশ দাঁড়িয়ে তা দেখেছে, কিন্তু এগিয়ে আসেনি।
বাপ-ভাইয়ের পাথরের আঘাতে নির্মম মৃত্যৃ হওয়া তিন মাসের অন্তঃসত্তা ফারজানা পারভিন’র (২৫) স্বামী ইকবালের পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক প্রশ্নের উত্তরে ইকবাল বলেন, আমরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছি, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।
এ ঘটনায় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইকবাল পুলিশের এ কাজকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘অমানবিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ইকবাল বলেন, আমরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করি। এমনকি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমার এক আত্মীয় গায়ের জামা খুলে ওপরে নাড়াতে থাকেন। তারপরও পুলিশ এগিয়ে আসেনি।
পরিবারের অমতে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করায় বাপ-ভাইয়ের পাথরের আঘাতে গত মঙ্গলবার নির্মম মৃত্যৃ হয় ফারজানা পারভিন (২৫) নামে এক পাকিস্তানি নারীর।
এ বিষয়ে নাসিম বাট নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফয়সালাবাদের বাসিন্দা ফারজানা পরিবারের অমতে জারানওয়ালার বাসিন্দা মো. ইকবালকে কয়েক মাস আগে বিয়ে করেন।
পরবর্তীতে ফারজানার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার ফারজানা ও ইকবাল এ মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিতে এলে ফারজানার পরিবারের সদস্যরা আদালতের সামনেই প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ফারজানাকে ইকবালের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে তারা ফারজানাকে বেধড়ক পেটায় ও পাথর ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ফারজানার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পুলিশ ফারজানার বাবাকে আটকে করলেও ভাইদের আটকে ব্যর্থ হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লে ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ‘দ্রুত এবং শক্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য পকিস্তান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
**নিজের পছন্দে বিয়ে করায় পাথর নিক্ষেপে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৪