ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত শনিবার ওই আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানিতে মোশাররফের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শনিবার এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
এমামলায় গ্রেপ্তার হলে মোশাররফ জামিন পাবেন না।
মোশাররফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল লন্ডনে গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার শুনানিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য মোশাররফ পাকিস্তানে ফিরবেন না। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘পুরোপুরি হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
সরকারি আইনজীবীদের ভাষ্য মতে, মোশাররফ জানতেন তালেবানরা বেনজিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। তারপরও তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে বেনজিরকে খুন হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি।
লন্ডনে মোশাররফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য মোশাররফ পাকিস্তানে ফিরবেন না।
বেনজির হত্যা মামলায় আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে অন্যান্যের মধ্যে মোশাররফের নামও রয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এ অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ ব্যাপারে শুনানি শেষে রাওয়ালপিন্ডির আদালত মোশাররফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে অভিযোগপত্র দাখিল করে এফআইএ। এতে মোশারফের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বেনজির নিহত হওয়ার পেছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লাহ মেহসুদ ওই ষড়যন্ত্র করেন। বেনজিরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিয়ে তাঁকে হত্যা করতে মেহসুদকে পরোভাবে সহযোগিতা করেন মোশাররফ।
এফআইএ আরও বলেছে, বেনজিরের নিরাপত্তায় অবহেলার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মোশাররফের নির্দেশমতো কাজ করেছিলেন।
মোশাররফ এখন ব্রিটেনে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে রয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, বেনজিরকে হত্যার পেছনে তাঁর কোনো হাত ছিল না। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মোশাররফ তদন্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১