রাজনৈতিক পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য আগামী একবছর থাইল্যান্ডে কোনো ধরনের নির্বাচন হবে না। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা থাই সামরিক নেতা শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
টেলিভিশন ভাষণে জেনারেল প্রয়ুথ চান-ওচা এজন্য সকল পক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এছাড়া তাদের লক্ষ্য পূরণে কোনো ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন না করার নিদের্শ দেন।
গত ২২ মে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় দখল করে থাই সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর দাবি, মাসব্যাপী দেশটিতে অস্থিরতা দূর করে স্থিতিশিলতা ফিরিয়ে দিতেই সামরিক শাসন।
প্রয়ুথ বলেন, নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সংশোধনের জন্য সময়ের প্রয়োজন। এজন্য ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের এক বছর তিন মাস প্রয়োজন। এরমধ্যে যদি ‘লক্ষ্য’ পূরণ হয় তাহলে নির্বাচন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংঘর্ষে যথেষ্ট সময় অপচয় করা হয়েছে।
গত ছয় মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মধ্যে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়। আহত হয় শত শত।
ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাসহ শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিককে গ্রেফতার ও তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেনা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪