কায়রো: গণতন্ত্রের পথচলা সুগম করার এবং ইসরাইলের সঙ্গে সম্পাদিত শান্তিচুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে মিশরের সেনাবাহিনীর নতুন নেতৃত্ব। খবর এএফপির।
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর একদিন পর জনতা যখন বিজয় উৎসব করছে তখনই দেশটির তরফ থেকে এরকম ঘোষণা দেওয়া হলো।
কোনো সময়সীমা বেঁধে না দিলেও সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল জানিয়েছে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকবে।
মার্র্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেনাবাহিনীর এই অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ওবামা যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও তুরস্কের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দেশটির এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের জন্য মিশরীয় জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মোবারকের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব শনিবার তার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানায়, মোবারকের বিদায়ের পর রোববার প্রথম সরকারি পর্যায়ে বেঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের রাজপথগুলোতে এবং তাহরির চত্ত্বরে এখনো অনেক তরুণ বিক্ষোভকারী অপেক্ষা করে আছে। তারা মিশরের জাতীয় সংহতির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন--যারা ১৮ দিনের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী মোবারকের পতন ঘটিয়েছেন।
এদিকে, শনিবার কায়রোর জেল ভেঙে ৬০০ জন বন্দি পালিয়ে গেছে। এতে একজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়
তারপরও কায়রোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারির জারি করা জরুরি অবস্থা শীঘ্রই প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং শেয়ারবাজার বুধবার খুলে দেওয়া হবে।
তাহরির চত্ত্বরে জনতা জনপ্রিয় আরবি ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে বিজয়োল্লাস করছে। তারপরও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। কারণ মোবারক বিদায় হলেও এখন যারা ক্ষমতায় আছেন তারা মোবারকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। গণমাধমের খবরে জানানো হয়েছে, মোবারক অবকাশকেন্দ্র শারম আল শেখে অবস্থান করছেন। কিন্তু লোকজনের ধারণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মোবারক হযতো আবার ফিরে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১