কায়রো: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর রোববার প্রথমবারের মতো দেশটির তত্ত্ববধায়ক সরকার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। মোবারকের পতনের পর বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরতে শুরু করায় দেশটিতে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে।
তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত হোসনি মোবারকের মন্ত্রিপরিষদ বহাল থাকবে বলে মিশরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদ জানিয়েছে।
মিশরে বিক্ষোভের প্রথম দিনগুলোতে মোবারক মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন যার অধিকাংশ সদস্যই সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।
দেশটিতে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় তথ্যমন্ত্রি আনাস আল- ফিকির পদত্যাগের একদিন পর রোববার এ বৈঠকের আয়োজন করা হলো। মিশরে বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ‘বিদেশী এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে ফিকি গণমাধ্যমে প্রচারণা চালান।
ফিকিসহ বরাখাস্ত প্রধানমন্ত্রি আহমেদ নাজিফ এবং ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি হাবিব আল- আদলির দেশ ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে শনিবার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা মেনা জানায়।
আদলি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশকে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ আছে।
তবে নতুন সেনা নেতৃত্ব জনগণকে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার এবং পুলিশকে ‘পুলিশ জনগণের জন্য’ এ স্লোগান মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি থেকেই পুলিশকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়। তবে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে সেনা পরিষদের প্রধান ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ হোসেইন তানতাভি রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি মাহমুদ ওয়াগদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১