ঢাকা: ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্ষণ শেষে দুই বোনকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনার কেন্দ্রীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
বৃহস্পতিবারের এ বর্বর ঘটনার পর ফের পুরো ভারত বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দাবির মুখে শনিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অপরাধীদের বিচারে সরকারের আশ্বাসের পর মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্তের খবর এলো।
বৃহস্পতিবারের এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বদুউন গ্রামে আন্দোলন-প্রতিবাদ চলছে।
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দুই বোনের বাবা বলেন, অপহরণের পর স্থানীয় পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ যখন জানতে পারল আমরা নিম্নবর্ণের, তখন অপহৃত দুই বোনকে উদ্ধার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।
শনিবার দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে গাছে ঝোলানো অবস্থায় ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে পাষণ্ডরা।
মেয়ে দু’টির পরিবার জানায়, আগের দিন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অপহৃত হয় এই দুই বোন। একদিন পর পাশের আমবাগানে পাওয়া যায় তাদের ঝোলানো লাশ।
এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাদবের নেতৃত্বাধীন সরকার বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গেছে। বিরোধীরা তাকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগের চাপ দিচ্ছে। অবশ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িত যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন যাদব ।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও চারজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দিল্লিতে ২০১২ সালে মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে ভারতে এ ধরণের ঘটনা বেড়েই চলছে। গত বছর সরকার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন কড়াকড়ি করে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না ধর্ষণের দেশ হয়ে কুখ্যাত হয়ে ওঠা দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪