ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মালয়েশীয় উড়োজাহাজের সন্ধান কাজে নতুন বাঁক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৪
মালয়েশীয় উড়োজাহাজের সন্ধান কাজে নতুন বাঁক ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চলতি বছরের ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে মালয়েশীয় উড়োজাহাজ (ফ্লাইট এমএইচ৩৭০) নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পরও আজ পর্যন্ত এর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।



শুধু তাই-ই নয়, এটি কী কারণে ও কীভাবে নিখোঁজ হলো, সে বিষয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি হয়ত দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। আবার কখনো বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার উপকূল অঞ্চলে নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনো এর কোনো কূল-কিনারা হয়নি।

সবার ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকরা আবার নতুন ধারণা দিয়েছেন নিখোঁজ উড়োজাহাজটি নিয়ে। তারা জানিয়েছেন, সাগর তলের মাইক্রোফোন দিয়ে তারা শব্দ রেকর্ড করতে পেরেছেন। এটি হয়ত নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের শব্দ।

তারা বলছেন, অস্ট্রেলীয় উপকূল থেকে এ শব্দ রেকর্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অবস্থিত কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বিজ্ঞানী অ্যালেক ডানকান মঙ্গলবার জানান, যে শব্দ রেকর্ড করা হয়েছে, সে ব্যাপারে তার ৩০ ভাগ ধারণা, এটি নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজেরই।

 তিনি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, এটি একটি সাধারণ শব্দ নয়, তারচেয়েও বেশি।

তিনি বলেন, যে শব্দ রেকর্ড করা হয়েছে, তা পাথরের চাপা শব্দের মতো।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এটি কীসের শব্দ হতে পারে, তাহলে আমি বলবো, আমি ২৫ থেকে ৩০ ভাগ সম্ভাবনা নিয়ে বলতে পারি, এটি নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের শব্দ হতে পারে।

তিনি বলেন, শব্দটির সিগন্যাল জাতিসংঘের মানদণ্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।

এদিকে, ক্যাথেরিন টি (৪১) নামে এক নারী নাবিক উড়োজাহাজ নিখোঁজের শেষ গন্তব্য সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়েছেন।   তিনি বলেন, সাগরপথে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে থ্যাইল্যান্ড থেকে ভারতের দিকে যাচ্ছিলেন।

তিনি জানান, ৮ মার্চ মালয়েশীয় নিখোঁজ উড়োজাহাজের মতো দেখতে একটি উড়োজাহাজে আগুন জ্বলতে দেখেছেন।

তিনি এ কথা কেউকে জানাননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভেবেছি, হয়ত এটা আমার মনের ভুল।

তিনি বলেন, আমি উড়োজাহাজে আগুন জ্বলতে দেখেছি। আমি ভেবেছি, আমি হয়ত পাগল হয়ে গেছি।

তিনি আরো বলেন,  আমি আগে কোনো উড়োজাহাজে এ রকম কমলা রঙের আলো দেখিনি। সে কারণে ঘটনাটি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে।

ক্যাথেরিন টি জানান, এরপর তিনি রাতে জিপিএস দিয়ে জানতে পারেন, নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের রুট ও তাদের বোটের রুট একই ছিল।

তিনি বলেন, এটিকে উড়োজাহাজের চেয়ে বড় মনে হচ্ছিল এবং এর পেছন দিক দিয়ে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় আরো দুটো উড়োজাহাজ এর উপর দিয়ে যাচ্ছিল। তবে এগুলোতে স্বাভাবিক নেভিগেশন আলো জ্বলছিল।  

ক্যাথেরিন টি বলেন, আমি ধারণা করেছিলাম, অপর উড়োজাহাজটি এই উড়োজাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি জানাবে।

তবে গবেষকরা এখনো বলতে পারছেন না, নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের শেষ গন্তব্য কোথায় ছিল! তবে গবেষক ও নারী নাবিকের বক্তব্য গবেষকদের আরো রহস্যের মধ্যে ঠেলে দিলো। উড়োজাহাজটির শেষ গন্তব্য আরো অনিশ্চিত করে তুললো তাদের কাছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।