ঢাকা: ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে’ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যসহ দুই জন নিহত হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের ওপর দোষ চাপানো হলেও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে, বিএসএফ সদস্য নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং তিনি জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ে আত্মহত্যা করেন।
শুক্রবার রাতে ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে না ঘেঁষতে বিএসএফের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের নিষেধ করার জের ধরে এ সংঘর্ষের পর রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাতের সংঘর্ষের পর শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে বিএসএফ মহাপরিচালকের।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানায়, সীমান্তে না ঘেঁষতে স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করেন ওই বিএসএফ সদস্য। এরপর তাদের ভয় দেখাতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন। কিন্তু স্থানীয় জনতা তাকে হত্যা করে। এমনকি তার অস্ত্র লুটেরও চেষ্টা করে।
অবশ্য স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে ত্রিপুরার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে, বাক-বিতণ্ডার জের ধরে ওই নেশাগ্রস্ত বিএসএফ সদস্য নির্বিচারে জনতার ওপর গুলি ছোঁড়েন, এরপর নিজেই আত্মঘাতী হন।
পরিস্থিতি সামলাতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৪