ঢাকা: স্ত্রী, সন্তান ও জামাতার সামনেই নৌকা থেকে কুমির টেনে নিয়ে গেল। তাদের শুধুমাত্র তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
হতভাগ্য ব্যক্তির নাম সংবাদমাধ্যম উল্লেখ না করলেও তার বয়স ৬২ বছর বলে জানিয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কাকাডু জাতীয় পার্কের লেকে।
ঘটনাটি শনিবার শেষ বিকেলে ঘটলেও রোববার কুমিরের পেট পরীক্ষা করে লোকটির দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, শনিবার শেষ বিকেলে স্ত্রী, সন্তান, জামাতাসহ এক ব্যক্তি কাকাডু জাতীয় পার্কে ঘুরতে যান। এক সময় তারা নৌকায় চড়ে ঘুরতে থাকেন। হঠাৎ একটি কুমির লোকটিকে টেনে পানিতে নিয়ে যায়। এরপর দুটো কুমির মিলে তাকে খেয়ে ফেলে।
এ বিষয়ে নর্দার্ন টেরিটরির পুলিশ সার্জেন্ট অ্যান্ড্রু হকিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, রোববার দুটি কুমিরকে গুলি করে পরে তাদের পেট কেটে ফেলা হয়। সর্বশেষ, যেখানে লোকটাকে দেখা গিয়েছিল, সেখান থেকেই কুমির দুটিকে গুলি করে কাটা হয়। এ সময় তাদের পেটে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কুমির দুটোকে খুঁজে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কুমির বিশেষজ্ঞ গ্রেমি ওয়েব জানান, অস্ট্রেলিয়ায় এ সময় শীতকাল চলছে। এমন সময় কুমিরের আক্রমণের ঘটনা আসলেই অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, আসলে কী ঘটেছে, আমি জানি না। তবে ঘটনার সময় ভীতিকর শব্দ শোনা গেছে। কিন্তু পরিবারের স্বজনদের কাছে এটা যে কী ভয়ঙ্কর, তা বলে বোঝানো যাবে না!
এর আগে জানুয়ারি মাসে এই পার্ক থেকেই ১২ বছরের একটি শিশুকে কুমির টেনে নিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক ক্রোকবাইট অনুসারে এ বছর সারাবিশ্বে ৬৬ জন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর আগের বছর ৭৬ জন কুমিরের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
এ পার্ককে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৪