ঢাকা: পাকিস্তানে করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অস্ত্রধারী জঙ্গী ও নিরাপত্তাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেই দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে, তেহরিক- ই- তালিবান পাকিস্তান এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ এয়ারপোর্টে এলাকায় হামলা চালায়। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের বন্দুক যুদ্ধ হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মালির ক্যান্টনমেন্টের সেনা সদস্যদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের সহায়তা করেছে পুলিশের কমান্ডো বাহিনী ও করাচি রেঞ্জারসের সদস্যরা।
ঘটনার দুই ঘণ্টা পর বড় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দ্বিতীয় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এয়ারপোর্ট ওয়ার্কশপের পাশ থেকে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যাত্রীদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জিন্নাহ এয়ারপোর্টের সব ফ্লাইট বাতিল করে অন্য এয়ারপোর্টে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্সের কয়েকজন সদস্যসহ কিছু লাশ জিন্নাহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ভর্তি করা হয়েছে আরো আহত ১৫ জনকে।
আইএসপিআর এর মুখপাত্র আসিম বেজওয়া জানান, বন্দুকযুদ্ধে ১০ সন্ত্রাসীর সবাই নিহত হয়েছে।
বাংলাদশে সময় : ০৪২৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৪; আপডেট-০৬৫৩