ঢাকা: পাকিস্তানের করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিআই)।
রোববার রাতে বিমানবন্দরে অস্ত্রধারী ১০ জঙ্গি এ হামলা চালায়, পরে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে টিটিআই এ হামলার দায় স্বীকার করে বলে জানায় পাকিস্তাভিত্তিক গণমাধ্যম ডন।
টিটিআই এর মুখপাত্র শহীদুল্লাহ শহীদ বলেন, “পাকিস্তানের নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছি যে, আমরা বেঁচে আছি। ”
এদিকে রাতভর বন্দুকযুদ্ধে ১০ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ভোরে বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনী (এএসএফ) অভিযান সমাপ্ত করার ঘোষণা দিলেও সোমবার সকালে তারা ফের অভিযান শুরু করে। তাদেরকে সহযোগিতা করে আধা সেনা ও পুলিশ বাহিনী।
এ সময় বিমানবন্দরের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা বেশকিছু জঙ্গি নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পাল্টা গুলি চালানো শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরাও। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্রসস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। ফলে বিমানবন্দরে আবার বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
সকালেই পাকিস্তান সরকার এ জঙ্গিহানার বিরুদ্ধে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজ আসিফ গণমাধ্যমকে বলেন, যে উদ্দেশ্যেই জঙ্গিরা এই হামলা চালাক না কেন, তাদের সফল হতে দেওয়া হবে না।
“জঙ্গিরা কীভাবে পাকিস্তানের সম্পদ ও জীবন ক্ষয় করছে, এই হামলা তার একটি উদাহরণ। ”
সূত্র জানায়, ১০ জনের অস্ত্রধারী জঙ্গিদল বিমানবন্দর এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। জঙ্গিরা হামলায় রকেট লঞ্চার, অত্যাধুনিক মেশিনগান, গ্রেনেড ব্যবহার করে।
এ সময় ছয় ঘণ্টা বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। এ বিমানবন্দরের সকল উড়াল ভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এতে বিমানবন্দরের ভেতরে কোনো স্থাপনা বা বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
**করাচি বিমানবন্দরে বন্দুকযুদ্ধে ১০ জঙ্গীসহ নিহত ২৩
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৪