ঢাকা: সুন্নি জঙ্গি ও ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ইরাকের মসুল শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে অধিবাসীরা।
মঙ্গলবার ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির সরকার বিরোধী সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দি ল্যাভেন্টের(আইএসআইএল) যোদ্ধারা।
মঙ্গলবার ভোরে সরকারি সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়ে শহরটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে দেড় হাজার জঙ্গি। বিমানবন্দর ও প্রশাসনিক ভবন সহ শহরটির সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করে রেখেছে তারা।
এ সময় টেলিভিশন স্টেশন, সরকারি ভবন, ব্যাংক সহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশাপাশি শহরের কারাগার ভেঙে প্রায় তিন হাজার কয়েদিকে মুক্ত করে তারা।
প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত মসুল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং ইরাকের তেল রপ্তানির প্রধান রুট।
সম্ভাব্য লড়াইয়ের আশঙ্কায় মসুলের অধিবাসীরা এখন নিকটবর্তী ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে ইতোমধ্যেই তিনটি আশ্রয়শিবির খুলেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইরাকি কুর্দিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেচিরভান বারজানি শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে আইএসআইএল জঙ্গিরা মসুল সহ পুরো নিনেভেহ প্রদেশ এবং পাশ্ববর্তী কিরকুক ও সালেহউদ্দিন প্রদেশের বিস্তৃত অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। কিরকুক শহরে সরকারি বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এ পরিস্থিতিতে ইরাকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য পার্লামেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি। পাশাপাশি এ সঙ্কট মোকাবেলায় তার সরকারকে সহায়তা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দেশটির সাবেক দখলদার যুক্তরাষ্ট্রও জঙ্গিদের হাতে মসুল পতনের নিন্দা জানিয়ে এ ঘ্টনাকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৪