ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া নেতা সুন্নিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকবাসীকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শিয়াদের মতে ইরাকের বিভিন্ন শহর সুন্নিদের নেতৃত্বে দখল করে নিচ্ছে আল-কায়েদার শাখা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভোন্টর (আইএসআইএল)।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ আলী আল-সিস্টানি সকলকে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে এতের পর এক শহর দখলে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গীরা। মসুল, তিরকিত, বাজি দখলের পর আরো শহর দখলের হুমকি দিয়েছে জঙ্গীরা। তারর রাজধানী বাগদাদ, নাজাফ ও কারবাল ও শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত আরো দক্ষিণাঞ্চলে হমলা করার হুমকি দিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা চেয়ে পার্লামেন্টের কাছে আহ্বান জানালেও তা নাকচ হয়ে যায়।
জাতিসংঘ বলছে, মসুলে আইএসআইএল জঙ্গীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাক সরকারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে আইএসআইএল ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পথ অবলম্বনের কথা জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রয়োজনে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরাকের অগ্রসরমান জঙ্গিদের প্রতিহত করতে ইরাক সরকারকে সহায়তা দিতে সম্ভাব্য সব পথ খোলা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা বিমান হামলার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন, তবে আমরা স্থল সেনা পাঠাচ্ছি না।
সুন্নি বিদ্রোহীদের হাতে মসুল ও তিকরিতসহ ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বেদখলের প্রেক্ষিতে সেদেশের সরকারের সমর্থনে বৃহস্পতিবার নিজের এ অবস্থান ব্যক্ত করলেন ওবামা। এর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি জঙ্গি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটের সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, ‘ইরাকে এখনই স্বল্পমেয়াদী সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে, জঙ্গিরা যেন ইরাক বা সিরিয়ায় কখনই তাদের স্থায়ী পদচিহ্ন না রাখতে পারে‘।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪