ঢাকা: এক প্রতিবন্ধী মুসলিম শিশুর পেছনে লেজের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে দেবতা হনুমান ভেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাকে পূজা দিতে শুরু করেছেন।
ঘটনাটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে।
১৩ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী এই শিশুটির নাম আরশাদ আলী খান হলেও বেশির ভাগ মানুষের কাছে ‘বালাজী’ নামেই পরিচিত সে।
পাঞ্জাবের স্থানীয় হিন্দুরা তাকে হনুমান দেবতার মতোই পূজা করেন। তারা মনে করেন, বালাজী পুনরুজ্জীবন লাভ করে পৃথিবীতে এসেছেন।
এর কারণ হলো, তার শরীরের পেছনের অংশে সাত ইঞ্চি মাপের একটি লম্বা লেজের মতো বাড়তি মাংসপিণ্ড আছে। এটি দেখতে প্রায় হনুমানের লেজের মতোই।
মজার বিষয় হলো, স্থানীয় বাসিন্দারা তার কাছে আশীর্বাদ নিতে এসে কৌতুহলবশত তার লেজের মতো অংশটিও দেখতে চান। হিন্দুরা মনে করেন, তার এই লেজের মতো মাংসপিণ্ডে মধ্যে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা।
তবে শিশু আরশাদের মতে, মানুষ আমার কাছে আসে। আমি হয়ত মানুষের জন্য তেমন কিছু করতে পরি না। তবে এটা সত্য যে, তাদের জন্য আমার শুভ কামনা থাকে।
শিশু আরশাদের বাবা ইকবাল কোরাইশি জানান, আরশাদ যখন কথা বলতে শুরু করে, তখন তার বয়স মাত্র এক বছর। এ সময় তার শরীরের পেছনের অংশে লেজের মতো প্রায় সাত ইঞ্চি লম্বা একটি মাংসপিণ্ড গজায়। এরপর বিভিন্ন ধর্মের মানুষ চার দেবতার নামে আরশাদকে ‘বালাজী’ নামে ডাকতে শুরু করেন।
এদিকে, শিশু আরশাদের কাছে পূজা দিতে আসা শাহানা দেবী বলেন, আমার মেয়ে দুই মাস ধরে জ্বরে ভুগছিল। বালাজীর দেওয়া পানি খেয়ে আমার মেয়ে এখন আগের থেকে সুস্থ!
বালাজীর দেওয়া পানি বা আশীর্বাদে মানুষের রোগ-বালাই বা বিপদ-আপদ মুক্ত হওয়া যায়, এমনটিই ধারণা ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের।
অপারেশন করে এই মাংসপিণ্ড কেটে ফেলা সম্ভব। কিন্তু আরশাদ মনে করে, তার এই লেজের মতো অংশ আল্লাহ প্রদত্ত। হোক সেটা ভালো বা খারাপ। যেহেতু, তার ওপর মানুষের অগাধ বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসের জায়গাটা ধরে রাখতে চায় সে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪