শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে ‘সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেনে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্ত্রীর সম্মানে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিক্রমাসিংহেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে হাভানা থেকে ফেরার পথে বিক্রমাসিংহে লন্ডনে যান, যেখানে তিনি জি ৭৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাকে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করেছি। তিনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করেছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডন সফরের বিষয়ে বিক্রমাসিংহেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিক্রমাসিংহে আজ সকালে স্বেচ্ছায় কলম্বোর এফসিআইডি কার্যালয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে হাজির হন। সেখানে তাকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরবর্তীতে হেফাজতে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিক্রমাসিংহের সমর্থকদের অভিযোগ, এটি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার কৌশল এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল বলছে, দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের পর রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর ২০২২ সালের জুলাই মাসে গোতাবায়া রাজাপাকসের বাকি মেয়াদের জন্য বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হন।
২০২২ সালে দেশের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক মন্দার পর অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য বিক্রমাসিংহেকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
সেপ্টেম্বরে তিনি পুনর্নির্বাচনে হেরে যান।
সূত্র: আরব নিউজ
জেএইচ