ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন পরিষদ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন সফরকালে তাকে এ ভাষণ দেওয়ার জন্য মার্কিন আইন প্রণেতাদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ‘মদত’ দেওয়ার অভিযোগে একসময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও পাননি মোদী। অথচ সেই মোদীই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আইন প্রণয়ন পরিষদে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেতে যাচ্ছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান শুক্রবার স্পিকার জন বোয়েনরকে এক চিঠি লিখে মোদীকে আগামী সফরে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখতে আমন্ত্রণ জানানোর অনুরোধ জানান।
চিঠিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা নিরাপত্তা সম্পর্ক বিষয়- যাই হোক না কেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো অংশীদার নেই। এটাও বলা বেশি হবে না যে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্বের সম্পর্ক। ’
চিঠিটিতে নর্থ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ জর্জ হোল্ডিংও স্বাক্ষর করেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ চিঠির কোনো প্রত্যুত্তর দেয়নি স্পিকারের কার্যালয়। অবশ্য, কংগ্রেসশনাল উপদেষ্টারা আশা করছেন, মোদীকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়ন পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে মোদীকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দিতে ২০০৫ সালে বিধান জারি করা হয়।
তবে ভারতের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলে সুর উল্টে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অভিনন্দন জানান এবং হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪