ঢাকা: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর পরই বন্দুকধারীদের গুলিতে এক নারী যাত্রী নিহত ও তিনজন ক্রু আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে পেশওয়ার বিমানবন্দরে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করার পর এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনা নিয়ে এ মাসে মোট তিনবারের মতো উড়োজাহাজে হামলা চালানো হলো।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের পুলিশ কর্মকর্তা আসগর খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১৭৮ জন যাত্রী নিয়ে পাকিস্তানের উড়োজাহাজটি সৌদি আরব থেকে পেশওয়ারে আসে এবং অবতরণের পর পরই বন্দুকধারীরা গুলি চালায়।
তিনি বলেন, বন্দুকধারীরা মোট ছয়টি গুলি করে। এর একটি এক পাকিস্তানি নারী যাত্রীর মাথায় লাগলে তিনি নিহত হন এবং তিনজন ক্রু আহত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তার পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। তবে একটি গুলি উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে লাগে।
এদিকে, পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কিফায়েতউল্লাহ জানান, নারী যাত্রীর মাথায় যখন গুলি লাগে, তখন তার মেয়ে পাশের আসনে বসেছিল।
তিনি বলেন, আমি যখন উড়োজাহাজের ভেতরে যাই, তখন দেখি, নিহত নারী যাত্রীর নয় বছরের মেয়ে চিৎকার দিয়ে কাঁদছে আর বলছে- আমার মা মরে গেছে। আমার মা মরে গেছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অন্যান্য যাত্রীরা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং অনেকেই আবার তাড়াহুড়ো করে উড়োজাহাজের বাইরে যেতে চাইছিলেন।
তবে বন্দুকধারীরা কতজন ছিলেন এবং তাদের কাউকে আটক করা গেছে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।
এ হামলার পর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের অবতরণ ও উড্ডয়ন বন্ধ রাখা হয়। ধারণা করা হয়, বিমানবন্দরে হয়ত আরো বন্দুকধারী লুকিয়ে থাকতে পারে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রশ্ন জাগলো যে, পাকিস্তান সরকার ১৫ জুন থেকে তালেবান উৎখাতের জন্য যে অভিযান শুরু করেছে, তা কতটা সম্ভবপর হবে!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪