ঢাকা: প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের বিজেপি সরকার যে কতোটা আগ্রহী তার আভাস পাওয়া গেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটেও।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে মোদীও যে নয়াদিল্লিতে বসে ‘প্রখর চোখ’ রাখছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় ২৬ জুনের পর তিনটি টুইটে।
এদিন মোদী যে গোটা দশেক টুইট করেন তার তিনটিই ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক, সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠি নিয়ে।
টুইটে মোদী বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশের সম্পর্কের মেলবন্ধের ব্যাপারে গভীর আশাবাদের কথা তুলে ধরেন।
মোদী যখন দিল্লি বসে এসব টুইট করছিলেন, তখন তার মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেত্রী রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি, স্থলসীমান্ত চুক্তি, ট্রানজিটের মতো অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি ‘বন্ধুত্বের বার্তা’ও ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দীন একে বলেছেন, দুই দেশ, সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের চমৎকার শুরু।
গত মে মাসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার শপথ অনুষ্ঠানে রীতি ভেঙ্গে সার্কভূক্ত দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতার’ বার্তা দিয়েছিলেন আগেই।
তারপরই মোদী প্রথম বিদেশ সফরে যান প্রতিবেশী ভুটানে। সেই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এর পরই বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার রাতে তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
সুষমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারত সফরের জন্য তাকে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
মোদী তাতে লেখেন, “পরস্পরের অগ্রাধিকার, প্রেক্ষাপট, উদ্বেগগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারা এবং আগামী দিনে সম্পর্ককে আরো উঁচুতে নিয়ে যেতে আমাদের প্রায়ই দেখা হওয়া উচিত।
“আমাদের কাছে বাংলাদেশ নিছক এক প্রতিবেশী নয়, বরং একটি রাষ্ট্র যার সঙ্গে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সভ্যতা অভিন্ন এবং জনগণের মধ্যে যোগসূত্র অনেক পুরনো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪