ঢাকা: ইউরোপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী সকল ফ্লাইটের যাত্রীদের মোবাইল ফোন-ল্যাপটপ কম্পিউটারসহ ইলেকক্ট্রনিক ডিভাইস চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সেসব ডিভাইস বহন করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজে ইয়েমনের সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদা ও সিরিয়ার আল নুসরা ফ্রন্ট বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইউএস ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ)।
টিএসএ’র উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ইউরোপ-আফ্রিকা-মধ্যপ্রাচ্যের কিছু সন্দেহভাজন বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে মোবাইল ফোন ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহনের ক্ষেত্রে সেসবে পর্যাপ্ত চার্জ দিয়ে রাখতে হবে, সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো উপক্রম হলে অথবা অপর্যাপ্ত চার্জ থাকলে তা-ও ফ্লাইটে বহনের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে না।
ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক রিলেশনন্সের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অলিভার দে ফ্রেঞ্চ বলেন, ইউরোপীয় পাসপোর্টধারী আটলান্টিক পাড়ি দিতে সক্ষম জঙ্গিদের প্রতিহতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল...।
টিএসএ জানায়, নিরাপত্তা প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, বিমানবন্দরের তল্লাশিকেন্দ্রে যাত্রীদের ফোন ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চালু আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে, যদি এর ব্যতিক্রম হয় তবে ওইসব ডিভাইস ফ্লাইটে বহনের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
টিএসএ’র একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলোও চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিশেষত অ্যাপলের আইফোন ও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোন ভালোভাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপত্তা উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুঃশ্চিন্তা হিসেবে ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরগুলোকেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৪