তাইপেই: যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টর্পেডো ও ভারী ট্যাঙ্ক কিনতে আগ্রহী তাইওয়ান। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পরও দ্বীপ দেশটি এ পরিকল্পনা নিয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং-জিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে একটি ক্রয় তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে লিবার্টি টাইমস পত্রিকা জানায়। এ তালিকার মধ্যে আছে এমকে-৫৪ টর্পেডো, কয়েক ডজন এম১এ২ ট্যাঙ্ক এবং উভচর যুদ্ধযান। এমকে-৫৪ টর্পেডো কেনা সম্ভব হলে তা নৌবাহিনীর পুরানো এসকে-৪৬ টর্পেডোর পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে বলে পত্রিকাটিতে জানানো হয়।
তবে ক্রয়তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে তাইওয়ানের জন্য একটি বিস্তারিত অস্ত্র পরিকল্পনা ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে ছিল প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ও তাইওয়ানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বহরের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। তবে সাবমেরিন বা নতুন কোনো জঙ্গি বিমান এ প্যাকেজের অর্ন্তভুক্ত ছিল না। বেইজিং এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের অস্ত্র চুক্তি বাতিল করার হুমকি দেয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং-জিও ’র নেতৃত্বাধীন চীন-বান্ধব কুওমিনটাং দল ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয়। এসময় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং তাইওয়ানে আরো বেশিসংখ্যক চীনা পর্যটক আসতে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় যার আওতায় তাইওয়ান চীনের তুলনায় দ্বিগুণ বাণিজ্য সুবিধা পাবে।
তবে এরপরও তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে চীন দ্বীপ দেশটির বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের নীতিতে অনড় রয়েছে। ধারণা করা হয় এজন্যই তাইওয়ান এখনো প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় ২০০১ সালে তাইওয়ানের দিকে চীন ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছিল। ২০০৮ সালে এর সংখ্যা ১,৪০০ তে পৌঁছায়। ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তাইওয়ান চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন থেকে এ দ্বীপ দেশটি স্বশাসিত।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০