কাবুল: কাবুলে আগামী মঙ্গলবার একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচেছ আফগান সরকার। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুনর্গঠনের বিষয়ই মূল গুরুত্ব পাবে।
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এ সম্মেলনের সভাপত্বিত করবেন। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটনের নেতৃত্বে ৪০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ মোট ৭০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে সম্মেলনটিকে সামনে রেখে আগামী সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে আফগান সরকার। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করে কাবুলের সবকটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে স্বনির্ভরভাবে ও দায়িত্বের সঙ্গে দেশটির পরিচালনার জন্য নতুন প্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আসন্ন বৈঠকটিকে।
সম্মেলনের আয়োজক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আশরাফ ঘানি এক সাক্ষাৎকারে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “এ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য দুটি। প্রথমত, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ইচ্ছার বাস্তবায়ন ও একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, স্থিতিশীল, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানানো। ”
পাশাপাশি আফগান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তর করা এবং ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণের আশা করছেন প্রেসিডেন্ট কারজাই।
এ সময়সীমাকে কঠিন কিন্তু বাস্তবসম্মত বলে উল্লেখ করে আফগানিস্তানে ন্যাটোর বেসমারিক প্রতিনিধি মার্ক সেডউইল বিবিসিকে বলেন, “যুদ্ধের দায়িত্ব আফগানরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ”
এ সন্মেলনে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জাপান লাখ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে যাচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশটিতে দেওয়া ত্রাণ ও সেনা সাহায্যের যৌক্তিকতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০