পাকিস্তানি সুন্দরী গুপ্তচরের খপ্পরে পড়ে সব খোয়ালেন ভারতীয় সেনা। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনি এখন ভারতের কারাগারে।
পশ্চিমবঙ্গের নায়েব সুবেদার কুমার পোদ্দার গত জুলাই থেকে সেকেন্দারবাদ রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সেসময় থেকে তিনি এক পাকিস্তানি নারী গুপ্তচরের কাছে রাষ্ট্রর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে আসছিলেন। বিনিময়ে ওই নারী কুমার পোদ্দারের অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা দিতেন, নগ্ন ভিডিও শেয়ার করতেন। এমনকি তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সব খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ভারতের সেন্ট্রাল ক্রাইম স্ট্রেশনের (সিসিএস) জেরায় পোদ্দার জানান, গত বছর আনুশকা আগারওয়ালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এসময় আনুশকা নিজেকে মাস্টার্সের ছাত্রী বলে পরিচয় দেয়। তারা বাবা ভারতে জাতিসংঘের একটি এনজিও পরিচালনা করেন। তারপর সে আনুশকার প্রতি আকৃষ্ট হন।
পরে আনুশকা তাকে এই মর্মে লোভ দেখায় যে, সে যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সম্পর্কে এনজিও’র একটি অনলাইন জরিপে কাজ করে তবে তাকে মাসে ১০ হাজার রুপি দেওয়া হবে।
পোদ্দার রাজী হয়ে যান। গত বছরের জুলাইয়ে পোদ্দারের অ্যাকাউন্টে ৯ হাজার রুপিও আসে।
এরপর থেকে আনুশকা পোদ্দারকে ফোন দিয়ে ভারতীয় আর্মি সম্পর্কে নানা তথ্য নেওয়া শুরু করে। আনুশকার অনুরোধে পোদ্দার ভারতীয় আর্মির ওয়েস্টার্ন সেক্টরের নানা মুভমেন্ট সম্পর্কে তথ্য দিতে থাকেন।
আগস্ট ২০১৩ পর্যন্ত পোদ্দারের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার রুপির মতো জমা পড়ে। সেই টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ কিনে আনুশকার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন পোদ্দার।
আনুশকা নজরদারি এড়াতে পোদ্দারকে প্রক্সি ই-মেইলে ব্যবহার শিখিয়ে দেয়।
ভারতের পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, আনুশকা পোদ্দারকে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাত। এছাড়া তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। কিন্তু তার আগেই পোদ্দার গ্রেফতার হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৪