ঢাকা: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পুলিশ প্রধানকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।
ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর চলমান লড়াইয়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো।
লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মঙ্গলবার রাজধানীর উপকণ্ঠের তাজুরা এলাকায় এক বৈঠক শেষে আসার সময় কর্নেল মোহাম্মদ সোয়াইসিকে বহনকারী গাড়িতে আক্রমণ করে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কর্নেল সোয়াইসিকে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। এ সময় তার দুই দেহরক্ষীকে অপহরণ করে অস্ত্রধারীরা। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ত্রিপোলি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লিবিয়ার জিনতান মিলিশিয়া ব্রিগেড ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মিসরাতা ব্রিগেড। লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণের লড়াইয়ে উভয় মিলিশিয়া গ্রুপই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় নগরী বেনগাজীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লিবিয়ার সেনাবাহিনীর একটি গ্রুপের সঙ্গে লড়াই করছে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীরা। কর্নেল সোয়াইসি সেনাবাহিনীর ওই গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে চলমান সহিংসতার মধ্যেই লিবিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করার ব্যাপারে একমত হয়েছে লিবিয়ার পার্লামেন্ট। তবে নির্বাচনের কোনো দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেননি তারা। লিবিয়ার পার্লামেন্ট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানা গেছে।
মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে লিবিয়ার বর্তমান সরকার অনেকটাই অসহায়।
ভারী অস্ত্রধারী সাবেক বিদ্রোহীরা বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাষ্ট্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত।
গাদ্দাফি পতনের পর থেকেই এসব বিদ্রোহী গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে ছোটোখাটো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও সম্প্রতি ত্রিপোলি ও বেনগাজীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চূড়ান্ত শক্তি পরীক্ষায় মুখোমুখি হয় তারা।
অব্যাহত লড়াইয়ে মুখে ইতোমধ্যেই লিবিয়া থেকে নিজেদের কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪