ঢাকা: একের পর এক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ। মুনাফায় ফিরতে সম্প্রতি প্লেন বিক্রির কথা জানায় এয়ারলাইন্সটি।
এসবের পর আরও একটি ঘটনা এয়ারলাইন্সটিকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। পাইলটদের অসাবধানতা সত্ত্বেও সম্প্রতি বড় ধরনের ‘দুর্ঘটনা’ থেকে বেঁচে গিয়েছেন যাত্রীরা।
এয়ারলাইন্সটির একটি বোয়িং-৭৭৭ মুম্বাই থেকে ব্রাসেলসে যাওয়ার পথে নির্দ্দিষ্ট উচ্চতা থেকে হঠাৎ পাঁচ হাজার ফিট নিচে নেমে যায়। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্লেনের যাত্রীরা।
ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ফ্লাইটটির পাইলট ঘুমিয়ে পড়েছিলেন! আর কো-পাইলট দায়িত্ব না নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ট্যাব নিয়ে। আর তাতেই এ বিপত্তি।
জানা যায়, প্লেনটি যখন হঠাৎ করে তার নির্ধারিত উচ্চতা ৩৪ হাজার ফিট থেকে ২৯ হাজার ফিটে নেমে আসে, তখন এটি তুরস্কের আঙ্কারা আকাশসীমায় অবস্থান করছিল। তবে বিষয়টি পাইলট বা কো-পাইলট কেউই আঙ্কারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান নি। প্লেনটির হঠাৎ উচ্চতা পরিবর্তন ভাবিয়ে তোলে আঙ্কারা এটিসিকে।
এদিকে, ঘটনার পাঁচদিন পর ভারতের ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হয়। এরপর এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া এয়ারলাইন্সটির ট্রেনিং পদ্ধতিও যাচাই-বাছাইয়ের কথা জানিয়েছে ডিজিসিএ।
অপরদিকে, প্লেনটি কি কারণে হঠাৎ পাঁচ হাজার ফিট নিচে নেমে গেল এবং কো-পাইলট বিষয়টি কেন টের পেলেন না সে বিষয়ে কাজ করছে এয়ারলাইন্সটি। এ জন্য তারা অভ্যন্তরীণভাবে তদন্তের ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ।
নিয়মানুযায়ী, কোনো প্লেন তার নির্ধারিত উচ্চতা পরিবর্তন করলে তা অন্য প্লেনকে অবগত করতে হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাটি কোনো পাইলট কর্তৃপক্ষকে অবগত না করায় তারা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার বিষয়টি জানার পর তাদের দু’জনকেই সব কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪