ঢাকা: জন্মের আগেই বি.এড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন ভারতের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক। আর সেই ডিগ্রির সনদ নিয়ে সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরিও পেয়ে গেছেন তারা!
তবে এই অবিশ্বাস্য বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর খতিয়ে দেখা গেছে, সব সনদই ‘ভুয়া’।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশানুযায়ী ২০১১-১২ সেশনে নিয়মিত চুক্তির ভিত্তিতে ৩৪ হাজার ৫৪০ প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ দেয় রাজ্য সরকার। নিয়োগের পরই- ‘নিয়োগপ্রাপ্তরা ভুয়া সনদ ব্যবহার করেছেন’- বলে শিক্ষা বিভাগে অভিযোগ আসতে শুরু করে।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্তম্ভিত রাজ্য শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ৯৫ জনই তাদের বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন জন্মের আগে অথবা ২১ বছর বয়সের আগে।
ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মাধেপুরা জেলার একটি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া শিবনারায়ণ যাদব নামে এক শিক্ষক জন্মের পাঁচ বছর আগেই বি.এড ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন, আর এটা স্পষ্ট করছে তার জন্ম ও ডিগ্রি সনদের তারিখ। পূর্বা চম্পড়নের একটি স্কুলে যোগদান করা প্রীতি কুমারীও তার বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন জন্মের তিন বছর আগে।
ঠিক একইভাবে ইন্দু কুমারী ও এল.বি সিংহ নামে শরণ ও শার্সা জেলার স্কুলে যোগ দেওয়া দুই শিক্ষকও তাদের বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন জন্মের সাত বছর আগে!
বিহারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আর.এস সিং বলেন, এ ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। শিক্ষাক্ষেত্রে কেউ এতো বড় ধরনের জালিয়াতি করবে আমরা ভাবতেও পারি না।
যারা ভুয়া সনদ ব্যবহার করেছে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪