পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট। এর একদিন আগেই দেশটির রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সরকার পতনের জন্য বিক্ষোভকারীদের নিয়ে তারা লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। সরকার বিরোধী এই দুই নেতার অনুসারীরা ৩৫০ কি.মি পথ ট্রাক, কার, মোটরবাইক, জিপে করে আসছেন। শুক্রবার সকালের মধ্যে তারা ইসলামাদের পৌছাবেন। ইসলামাবাদ জিরো পয়েন্টে তারা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে আন্দোলন দমাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নওয়াজ শরীফের সরকার। হাজার হাজার পুলিশ ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের প্রবেশ মুখে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক আশিংকভাবে অকেজো করে দিয়েছে সরকার।
তাদের দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় বসা নওয়াজ শরীফ তার তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য ইমরান খান নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষোভকারীরা গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায় বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। সেসঙ্গে ২০১৩ সালের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব বিতর্ক উঠেছে তার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ইমরান খান সরকারের তদন্ত প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেন, একমাত্র শরীফের পদত্যাগই তাদের আন্দোলন থামবে।
এই নিয়ে ইসলামাবাদের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমাতে সরকার সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারেও আশঙ্কা অনেকের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪