ঢাকা: আমাজানের গভীন বন থেকে আরো একদল আদিবাসী ইন্ডিয়ান বেরিয়ে এসেছে। এই প্রথমবারের মতো তাদের সঙ্গে পৃথিবীর মূলধারার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হল।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ২৪ জনের নারী-পুরুষ-শিশুর এই দলটি পেরুর অংশ থেকে বেরিয়ে ব্রাজিলে এসে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক চোরাচালানীদের হামলা ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই এরা রেইনফরেস্ট থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
এখান তারা ব্রাজিল সরকারের অধীনে পেরু ও ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী একটি নদী তীরে বিশ্রাম নিচ্ছে। এলাকাটি মাদক চোরাচালানের জন্য বিখ্যাত।
এর আগেও পেরুর চোরাচালানীদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতার জন্য আমাজানের রেইনফরেস্ট থেকে পালিয়ে এসেছিলো আদিবাসীদের একটি গোষ্ঠী, যাদের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছিলো ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন।
এর পর পরই আদিবাসীদের দ্বিতীয় এই দলটি বেরিয়ে এলো।
আমাজানের আদিবাসীদের নিয়ে গবেষণা করছেন এমন একজন গবেষক নিক্সিওয়াকা দ্যা টেলিগ্রাফকে বলেন, আমি খুবই বিস্মিত যে, বাইরের লোকজনের কারণে আদিবাসীরা হুমকির মুখে পড়ছে, অথচ পেরুর সরকার তাদের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘ব্রাজিল ও পেরুর সরকারের উচিত আদিবাসীদের রক্ষার জন্য যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার। এখনো সময় আছে। নাহলে একটি নিষ্পাপ গোষ্ঠী সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ’
ভিডিও’র একটি অংশে দেখা যায়, স্থানীয়রা দুইজন নগ্ন-সশস্ত্র আদিবাসীকে কলা দিচ্ছেন। জায়গাটি ছিল পেরু-ব্রাজিল সীমান্তবর্তী এনভিরা নদীর তীরে।
ফুনাই জানায়, জ্যামিনাওয়া হোসে কোরেইয়া একজন আশানিখা আদিবাসীরা নিজেদের লোক ও অস্ত্র খুঁজতে ওখানে এসেছিল।
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন সপ্তাহ আগে জঙ্গলে গেলেও আদিবাসীর দলটি আবার ফিরে এসেছে বলে জানায় ফুনাই। তাদের চিকিৎসার জন্য একটি সরকারি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।
ফুনাই আন্দাজ করছে, ব্রাজিলিয়ান আমাজনে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৭৭) বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগহীন আদিবাসী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪