ঢাকা: বিচিত্র কাণ্ডকারখানায় মানুষের জুড়ি মেলা ভার! নিত্যনতুন অদ্ভুত আর অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড না করলে যেন তার স্বস্তি মেলে না।
তেমনি বিচিত্র এক কাণ্ড শুনুন।
২০০৯ সালের দিকে মস্তিষ্কে এক ধরনের অদ্ভুত কম্পন ধরা পড়ে তার। অবস্থা এমন বেগতিক হওয়ায় মস্তিষ্ক থেকে অস্বাভাবিক সব সিগন্যাল আসতে শুরু করে। সহজে বললে, পাগলামি শুরু করে দেন রজার।
শেষে অবস্থা এমন পর্যায়ে ঠেকল যে, তার পিয়ানো বাজানো ক্যারিয়ারই রীতিমতো হুমকির মুখে পড়ে যায়।
শেষমেশ ডাক্তাররা তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। অস্ত্রোপচারের অংশ হিসেবে ডাক্তাররা একটি কম ক্ষমতার ইলেক্ট্রিক তার প্রতিস্থাপন করেন তার মাথায়। তাদের লক্ষ্য ছিল, যে জায়গায় রজারের মস্তিষ্কে কম্পন হয়, ঠিক সেখানে ইলেক্ট্রিক তারটি স্থাপন করা।
কিন্তু রজারের মস্তিষ্ক কম্পন এতই গুরুতর ছিল যে, তারা শংকায় ছিলেন ইলেক্ট্রিক তারটি ঠিকঠাক জায়গায় বসবে কি-না!
শেষে ডাক্তাররাই ভেবে-চিন্তে বের করলেন এক অভিনব উপায়। ইলেক্ট্রিক তার লাগানোর সময় রজারকে দিয়ে পিয়ানো বাজানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। কারণ পিয়ানো বাজানোর সময় রজারের মস্তিষ্ক পিয়ানোর ধ্যানেই থাকবে।
আরও সহজ করে বললে, মস্তিষ্ক পিয়ানো বাজানোর দিকে মনোযোগ দিলে অদ্ভুত কম্পনটি আর বাগড়া দিতে পারবে না। সেই ফাঁকে ইলেক্ট্রিক তার বসিয়ে দেবেন তার মাথায়। এই হলো ব্যাপার!
যেই ভাবা সেই কাজ। রজার দিব্যি পিয়ানো বাজালেন আর ডাক্তাররাও তাদের কাজটি সফলভাবে সারলেন।
অস্ত্রোপচারের তিন সপ্তাহ পর রজার এখন পুরোদস্তুর ‘সেক্সটেট’ (পিয়ানোর একটি প্লে) বাজাতে পারেন। আরও এক সপ্তাহ পর তিনি আবার আগের মতো অর্কেস্ট্রা বাজাবেন।
তিনি জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের সেই অদ্ভুত কম্পন এখন আর নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৪