ঢাকা: এতো মৃত্যু আর ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও কিছুটা আশার আলো সুন্দর ভবিষ্যতের বার্তা বয়ে আনে। সম্প্রতি এমনি এক আশার আলো জ্বললো যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়।
অঞ্চলটির এতো ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও এক জুটি তাদের নতুন জীবন শুরু করেছে। জাতিসংঘের অস্থায়ী নিরাপত্তা আশ্রয়ে বিয়ে করেন ওমর আবু নামার (৩০) ও হেবা ফাইয়াদ (২৩)। এতো কষ্টের মধ্যেও কিছুটা আনন্দ পেতে বিয়ে করলেন এ দম্পতি।
ইসরায়েলি হামলায় তাদের বাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি বিয়ের পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। হারিয়ে যায় বিয়ের পোশাকসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
কনে ফাইয়াদ বলেন, আমি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কাছে গিয়ে বলেছি আমার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। তারা যদি আমাকে সাহায্য করে তাহলে আমি বিয়ে করতে পারবো।
ফাইয়াদের প্রস্তাবে জাতিসংঘ এ জুটির পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বিয়ের সব আয়োজন করেছে। এমনকি নতুন এ দম্পতিকে শহরের বাইরে কিছুদিন একটি হোটেলে থাকার জন্য অর্থ সহায়তাও করেছে সংস্থাটি।
বিয়েতে দু’পক্ষের আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। নাচ, গান, বেলুন ও কেকসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছিলো এ বিয়েতে। যাতে করে কয়েকদিন আগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কথা মানুষ কিছুটা ভুলে থাকতে পারে।
বিয়েতে আগত অতিথি হায়া আজিজ জানান, আমরা কিছু সময়ের জন্য হতাশা ও বিষন্নতা থেকে দূরে ছিলাম। ধ্বংসযজ্ঞ চোখের সামনে থেকে দূরে সরে গিয়েছিলো।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার মুখপাত্র জানান, গাজার জন্য এটি একটি খুশির খবর। এতো হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে আমরা ভালোবাসা ও মানবতার স্বাক্ষর রেখেছি।
বাংলাদেশ সময় : ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪