ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের দমনে এবার সিরিয়ার দিকে নজর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকদিন আগে জঙ্গিদের মোকাবেলায় ইরাকে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজ এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
আইএস মূলত সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ও ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। হোয়াইট হাউজের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডেস জানান, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এখন দুই সপ্তাহের ছুটিতে ম্যাসাচুসেটস দ্বীপে আছেন। ছুটি কাটিয়ে ফিরলেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে এখনও অবহিত করা হয়নি।
সাংবাদিক জেমস ফোলেকে হত্যা ও আরেক মার্কিন নাগরিক স্টিভ সটলফকে হত্যার হুমকির বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোডেস বলেন, মার্কিনিদের রক্ষায় যা যা করা দরকার সবই করা হবে। জিম ফোলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড আমরা দেখেছি। আরেকজনকে হুমকি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।
এপর্যন্ত ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আপেক্ষিকভাবে সীমিতই বলা যায়। সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়কে রক্ষায় তারা ৯০ বার বিমানহামলা চালিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল গতবছর সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী বেসামরিক লোকদের হত্যায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছি। ওই হামলার প্রেক্ষিতে বিমান হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে পিছু হটেন ওবামা।
কিন্তু এবারের আইএসের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ তারা সরাসরি মার্কিনি ও তাদের স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বৃহস্পতিবার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেন, সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের যে ঘাঁটি রয়েছে তা ধ্বংস ছাড়া তাদের নির্মূল করা সম্ভব না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৪