বৈরুত: আরব বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসনক্ষমতাকে উচ্ছেদ করতে চলমান সরকার বিরোধী জনপ্রিয় আন্দোলনে নারীরা অগ্রসর ভূমিকা পালন করছে। বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীদের কাছ থেকে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক নাদিম হুরি বলেন, ‘নারীরা ওই অঞ্চলে অভ্যুত্থান ও বিপ্লবে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছে ও করছে। তারাই ওই আন্দোলনের মূল শক্তি। রাস্তায় নারীদের শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে তাদের শক্ত অবস্থান জানাচ্ছে। ’
হুরি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা আশাব্যাঞ্জক ঘটনা। বিপ্লব থেকে উঠে আসা নতুন সরকার গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন উচিৎ। ’
তিউনিস, কায়ারো, মানামা, সানা থেকে শুরু করে সব শহরে টি-শার্ট, জিন্স, লম্বা কালো জামা ও বোরকা পরিহিত লাখ লাখ নারীর সোচ্চার কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। তাদের দাবি, স্বৈরাশাসকের পদত্যাগ।
তিউনিসিয়ায় জাইন আল-আবিদিন বেন আলিকে সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এতে অনুপ্রাণিত মিশরের তাহরির স্কয়ারে দলে দলে নারীরা সরকার বিরোধী যোগ দেয়। হোসনি মোবারককে তার ৩০ বছরের ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে এ আন্দোলন কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে।
বাহরাইনেও হাজার হাজার শিয়া বিক্ষোভকারীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা অংশ নিয়েছে। তাদের দাবি, সুন্নি সম্প্রদায়ের আল-খলিফা রাজ্যের পতন।
ইয়েমেনের মানবাধিকার কর্মী তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, ‘নারীরা আরব অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিউনিসিয়া থেকে মিশর ও লিবিয়ায় তার বিপ্লব ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছে, করছে। ’ এমনকি অতি রক্ষণশীল সৌদি আরবের সমাজেও বিদ্রোহী নারীকণ্ঠের ভেসে আসছে।
কারমান বলেন, ‘এটাও একটি সামাজিক বিপ্লব। নতুন সমাজ গঠনে নারীরা অবদান রাখছে। ইয়েমেনের বিপ্লব নারীদের একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১১